খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে নৌবাহিনী

প্রকাশঃ ২০২৫-০১-১৬ - ০৮:৪৮

খুলনা প্রতিনিধি: ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ই আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসা দমন এবং পলাতক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে এ বাহিনী। নগরীর গুরুত্বপূর্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসিয়ে নৌবাহিনী তাদের অভিযানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমনকি ৫ই আগষ্টের সময় খুলনা বেতারের লুট হওয়া মালামালও উদ্ধার করে নৌবাহিনী এবং পুলিশ। নৌবাহিনীর এমন তৎপরতায় খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী বিশেষ অভিযান ,ট্রাফিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন, পুরাতন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে আসছে। মাদক এবং অপরাধের হটস্পট এলাকাতেও বিভিন্ন সময়ে পুলিশের পাশাপাশি নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। যার ফলে অপরাধীদের দৌরাত্ম কমেছে। খুলনার সরকারি বেতারের লুট হওয়া মালামালও উদ্ধার করে নৌবাহিনী।


খুলনা নগরীর বাসিন্দা শেখ মো. আজাদ বলেন, ৫ই আগষ্টের পর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে পুলিশের পাশাপাশি নেীবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। বেশ কিছুদিন ধরে চুরি ছিনতাই বেড়ে চলেছে। মাদক ব্যবসাও বেড়েছ। তবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসিয়ে এ ধরনের টহল অভিযান নগরবাসীর নিরাপত্তায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
ব্যবসায়ী গৌতম মন্ডল বলেন, নগরীতে উঠতি বয়সি কিশোরদের ব্যপক দৌরাত্ব বেড়ে চলছিলো। তবে পুলিশ এবং নৌবাহিনীর যৌথ অভিযানে তা অনেকটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তিনি আরো বলেন, অনেকের যানবাহনের কাগজপত্র নেই। তবে আমাদের উচিত কাগজপত্র করে যানবাহন করা। এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করাও প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নগরীর সাতরাস্তা মোড়ের বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বলেন, নগরীতে উঠতি বয়স্ক কিশোররা অনিয়ন্ত্রনভাবে আইন না মেনে মোটরবাইক চালায়। যার ফলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক কিশোর গ্যাং বিভিন্ন মোড়ে গভীর রাত অব্দি ঘোরাফেরা করে এবং অপরাধ মূলক কাজেও লিপ্ত হয়। তবে বিভিন্ন সময়ে নৌবাহিনীর টহল টিম এসকল মোড়ে চেকপোষ্ট এবং অভিযান পরিচালনা করার ফলে এসব কিশোর গ্যাং এর উৎপাত কিছুটা কমেছে।

এডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, ৫ই আগষ্টের পর খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। যা পুনরুদ্ধারে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। যা প্রশংসার দাবী রাখে বলে আমি মনে করি।
খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ধরতে নৌবাহিনী অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। নৌবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা খুলনার চাঁনমারি থেকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসীদের ধরতে সক্ষম হই।