ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনার ডুমুরিয়ায় পাষন্ড স্বামীর দায়ের কোপে স্ত্রীকে খুনের পর লাশ গুম করে বাঁচতে চেয়েছিল ঘাতক স্বামী, কিন্তু সেটা আর হলো না। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ গ্রেফতার করা হয়েছে ঘাতক স্বামীকে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শহিদুল গোলদার বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণী ও নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার রুদাঘরা গ্রামস্থ আব্বাস গোলদারের মেয়ে নাসিমা খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী খরসঙ্গ গ্রামের গহর আলী মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে জন্ম নেয় খাদিজা খাতুন (২৩) ও বাপ্পি মোল্লা (১৭) নামে দুটি সন্তান। বিয়ের পর স্বামীর নির্যাতন,সুখ দুঃখ সব কিছু মিলিয়ে দাম্পত্য জীবন কাটছিল নাসিমার। কিন্তু সেটা আর হলো না নিভে গেল জীবন প্রদীপ। ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামীর উপর্যুপুরি আঘাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে স্ত্রী। এরপর মৃতদেহ গুম করে বাঁচার আশায় নিজ বাড়ির বাথরুমে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে ফেলে দিয়ে উধাও হয় ইব্রাহিম। পরদিন বিবাহিত কন্যা খাদিজা খাতুন মা-বাবার ফোনে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে পিত্রালয়ে চলে আসে। মাকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় লাশের সন্ধান মেলে সেফটি ট্যাংকির মধ্যে। ঘটনা প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ ইব্রাহিম জানান, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শেখ শাহাজাহান,ওসি মাসুদ রানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে তেরখাদা এলাকা থেকে পলাতক আসামি ইব্রাহিম কে গ্রেফতার করা হয় এবং আসামি ইব্রাহিম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানান। এ প্রসঙ্গে ওসি মোঃ মাসুদ রানা বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সেফটি ট্যাংকির ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং ধৃত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।