আব্দুল হামিদ,বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি: কাজীবাছা নদীর ¯্রােতের তোড়ে ঘর বাড়ী হারা তিনটি সম্ভ্রান্ত সাহা পরিবার কাঁটাতারের বেড়ায় ছয় মাস অবরুদ্ধ হয়ে আছে। দীর্ঘ ১৬/১৭ বছর আগে কাজীবাছা নদীর প্রবল স্রোতের তোড়ে সাহা পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘর বাড়ী দ্বিতল ভবন ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এ সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কিরন্ময় সাহার ভাইপো রতন কুমার সাহা, রঞ্জন কুমার ও রূপক কুমার সাহা সব কিছু হারিয়ে থানা প্রাচীরের উত্তর পাশে নিজ জমিতে আবারও বসত ঘর গড়ে তোলেন। তখন থেকেই যাতায়াতের জন্য বেড়ী বাধ নির্মাণ করেন। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বেড়ী বাধটি তাদের জায়গার ভিতর দাবী করে কাটা তারের ঘেরা দিয়ে ছ’মাস আগে সাহা পরিবারের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়। এখন বালি তুলে জায়গাটি ভরাটের কাজ চলছে। বৃষ্টির পানি বের হবার ব্যবস্থা না থাকায় বটিয়াঘাটা থানাসহ ৫০/৬০টি পরিবার জলাবদ্ধতার শিকার হওয়ার আশংকা রয়েছে। এ ব্যপারে অসহায় ২৯টি পরিবার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগী প্রাক্তন ইউপি সদস্য রতন কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসক ও বটিয়াঘাটা ইউএনও’র নিকট বিষয়টি নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। ছেলে মেয়েরা অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে স্কুল কলেজে যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবায়েত আরা বলেন, জায়গাটি কৃষি অফিসের। দীর্ঘদিন খোলা অবস্থায় ছিল। সে ভাবেই আশপাশের লোক যাতায়াত করত। যায়গাটি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয়া হয়েছে। কোন পরিবার অবরুদ্ধ কিনা আমার জানা নেই।