বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃ শ্রম ও কর্মসংস্থা মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদারের পুলিশ প্রোটোকল দিতে গিয়ে থানা পুলিশের পিক-আপ ভ্যান গাছের সাথে বেঁধে গিয়ে এসআই প্রদীপ মালাকার সহ তিন কনষ্টেবল গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার কিস্মত ফুলতলা নামক স্থানে গল্লামারী টু নলিয়ান মহাসড়কের উপর।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রবিবার বিকাল ৪টার দিকে থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক মামুনের নিজ ব্যবহৃত পুলিশ পিক-আপ ভ্যান নিয়ে চালক কনষ্টেবল নাঈম সহ এসআই প্রদীপ মালাকার ও পুলিশ সদস্য নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পার্শ্ববর্তী দাকোপ উপজেলায় পৌঁছে দিতে পুলিশ প্রোটেকশন দিতে পানখালী ফেরীঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রওনা দিয়ে পথিমধ্যে উপজেলার কিসমত ফুলতলা মঠ নামক স্থানের পৌঁছালে থানা পুলিশের পিক-আপ ভ্যানের চালক নাঈম গাড়ীটির নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে। চালক নাঈম কৌশলে রাস্তার পাশে একটি গাছের সাথে নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও অল্পের জন্য এস আই প্রদীপ মালাকার ও সে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় এবং তারা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায়। অন্যদিকে পিক-আপ ভ্যানের পিছনে থাকা থানা পুলিশের কনষ্টেবল মোঃ ইউছুফ ও ব্যাটেলিয়ন পুলিশের সদস্য হারুন ও রতন গুরুত্বর আহত হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় এসআই প্রদীপ মালাকার এবং কনষ্টেবল ইউছুফ, হারুন ও রতনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ইউছুফ, হারুন ও রতনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থা শংঙ্কাজনক বলে পুলিশ জানায়। খবর পেয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী, থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক মামুন ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন।