ডুমুরিয়া(খুলনা)প্রতিনিধি: ডুমুরিয়া উপজেলা ও থানা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরও থেমে থাকেনি অবৈধ দৈনিক তামান্না র্যাফেল ড্র’র নামে আয়োজিত লটারীর টিকিট বিক্রি কার্যক্রম। অবশেষে প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি’র নির্দেশে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ টিকিট বিক্রি বন্ধে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযানে নামলে ভোঁ দৌড়ে পালিয়ে গেছে কয়েকটি ইজিবাইক। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে গত ১২ নভেম্বর হতে খুলনা মহানগরীর সোনা ডাঙ্গা এলাকায় একটি প্রভাবশালী মহল
মাস ব্যাপী তাঁত ও বস্ত্র মেলার অন্তরালে অবৈধ ভাবে দৈনিক তামান্না র্যাফেল ড্র নামে লটারীর আয়োজন করে। খুলনা মহানগর সহ জেলার ফুলতলা, ডুমুরিয়া, রুপসা,বটিয়াঘাটা,দাকোপ এবং বাগেরহাট জেলার ফকির হাট থানা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তামান্না লটারীর ১৮০ টি ইজিবাইক ও পিক আপ ভ্যান মাইকে প্রচার করে টিকিক বিক্রি চালিয়ে আসছে। নগত টাকা,মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন আকর্ষনীয় পুরস্কারের লোভে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার দীন মজুর, রিকসা- ভ্যান চালক, স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ পুরস্কারের লোভে শ’ শ টাকা খচর করে টিকেট কিনছে। এমনি ভাবে সাধারন মানুষকে প্রলোভনে ফেলে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধ তামান্না লটারীর ড্র
আড়ম্বরের সাথে অনুষ্ঠিত হয়। লটারী আয়োজক কর্তৃপক্ষ ড্র অনুষ্ঠানটি খুলনার ¯হানীয় দু’টি ক্যাবল টিভি চ্যানেলের মাধ্যমেও সরাসরি সম্প্রচার করে। গত শুক্রবার ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ও রোববার উপজেলা প্রশাসন লটারী বিক্রির কয়েকটি ইজিবাইক আটক করে। তাদের কাছে বৈধ কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে তারা ডুমুরিয়াতে আর টিকেট বিক্রি করতে আসবে না এই মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান। এদিকে বুধবার লটারী বিক্রির গাড়ী ডুমুরিয়ায় আবারও টিকিট বিক্রি করতে আসলে বিষয়টি মৎস্য ও প্রানীস¤পদ প্রতিমন্ত্রীর কর্নগোচর হলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে অবৈধ লটারী বন্ধে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন জানান, প্রতিমন্ত্রী স্যার ও এসপি স্যারের নির্দেশে লটারী টিকিট বিক্রি বন্দে অভিযানে নামলে কয়েকটি গাড়ি পুলিশের গাড়ীর আসতে দেখে ভোঁ দৌড়ে পালিয়ে গেছে। এ ছাড়া শাহপুর ও চুকনগর এলাকায় ক্যা¤প পুলিশকে লটারী বিক্রির কোন গাড়ি পেলে আটক করে থানায় আনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি জানান, খুলনার চলমান অবৈধ লটারীর আয়োজন বিষয়ে আমার কাছে অনেকেই অভিযোগ করেছে। প্রতিদিন লটারীর নামে জুয়া খেলায় ক্ষতি গ্র¯হ হচ্ছে সাধারন মানুষ। লটারী বন্দে প্রয়োজনীয় ব্যব¯হা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।