বটিযাঘাটা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা গ্রামের নিখোঁজ হওয়া মোঃ মোস্তফা গাজী(৪৮)এর মৃতঃ দেহের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত দুই বছরপূর্বে জেলার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা গ্রামের মৃতঃ আকির উদ্দিন গাজীর পুত্র মোঃ মোস্তফা গাজী(৪৮)কে ওই একই এলাকার কুটির ফকিরের পুত্র বহু অপকর্মের হোতা আজম ফকির জনৈক বলাই নামের হারানো এক ব্যক্তির সন্ধান দেওয়ার নাম করে বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তার দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগমের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে গভীর রাতে মোস্তফা গাজী ঘুমিয়ে পড়লে তাকে হত্যা করে রহিমার বসতঘরের রান্না ঘরের পাশে ৫ফুট মাটির নিচে পুঁতে রাখে। দীর্ঘদিন ধরে নিরুদ্দেশ হওয়া মোস্তফা গাজীর সন্ধান না পেয়ে তার স্বজনেরা এক প্রকার আশা ছেড়ে দেয় তার সন্ধানের। অবশেষে চলতি বছরে কোনো এক সময় ওই একই এলাকার কুখ্যাত আজম ফকিরের জামাই রহিম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সন্তান ইমরান হত্যার লোমহর্ষক কাহিনীর ঘটনা এবং মৃতদেহের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনা স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় জানতে পেরে নিখোঁজ মোস্তফা গাজীর সন্ধান নিতে শুরু করে তার স্বজনেরা। অবশেষে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের সহযোগীতায় উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে রহিমার বাবার বাড়ির রান্না ঘরের পাশে গর্ত খুঁড়ে তার মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে। খবর পেয়ে থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক মামুন, ওসি(তদন্ত) সরদার ইব্রাহীম হোসেন সোহেল, ভান্ডারকোট ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই নাজমুল হাসান, এএসআই তরিকুজ্জামান সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে। উদ্ধারের পরে খবর পেয়ে নিহতের ভাই রাজ্জাক গাজী ও কামরুজ্জামান গাজী গর্তের মধ্যে থাকা মোস্তফার পরনের টুপি, গলার মাদুলী, গায়ের শার্ট ও পান খাওয়ার কৌঁটার সরঞ্জাম সহ দেখে তাকে সনাক্ত করে। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই কামরুজ্জামান গাজী বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো বলে পুলিশ জানায়।