খুলনা : অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে খুলনায় শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষিকাকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- সদর থানা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (প্রাথমিক) অসীত কুমার বর্মন ও মহানগরের পশ্চিম টুটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নুসরাত জাহান পলি। আটক অসীত কুমার বর্মন সাতক্ষীরা জেলা সদরের রাজনগর গ্রামের অমল কুমার বর্মনের ছেলে ও নুসরাত জাহান পলির স্বামী এস এম মিজানুর রহমান নগরীর খুলনা কলেজের ভুগোল বিভাগের প্রভাষক এবং জেলা আ’লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক।
শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে মহানগরের দক্ষিণ টুটপাড়াস্থ দিলখোলা রোড এলাকার বাসা থেকে তাদের আটক করে সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষিকা নুসরাত জাহান পলির স্বামী এসএম মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দু’জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার বাড়ই বলেন, শিক্ষিকা নুসরাত জাহান পলির স্বামী এসএম মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। কিন্তু তিনি শহরের সাত রাস্তার মোড় পর্যন্ত গিয়ে আবার বাসায় ফেরেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বাসায় ফিরে দেখতে পান তার স্ত্রী এবং অসীত কুমার বর্মন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে ৪৯৭, ৫০৬, ৪০৬ ধারায় ব্যাভিচারের মামলা হয়েছে। দু’জনেই বিবাহিত। দীর্ঘ দিন ধরেই তারা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
শিক্ষিকা পলি’র ভাই আহসান হাবিব জানান, পলির সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামীর কলহ চলছিল। সে প্রায়ই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। আমার বোন এবং আমাদের সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তা না হলে ঘটনার সাথে সাথে পুলিশ, সাংবাদিক এবং জনতা কিভাবে উপস্থিত হন।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার জানান, শুক্রবার সকালে তিনি দু’জনের আটকের খবরটি শুনেছেন। কিন্তু অফিস ছুটি থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। অফিস খুললে রোববার তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। এরপর বিধি অনুযায়ী অন্যান্য পদক্ষেপ দেওয়া হবে।