মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং
সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান
খুলনা : মানবাধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয় আইনের যথাযথ প্রয়োগের দাবী এবং সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু দিবসে খুলনা নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন শারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যানিটিওয়াচের সহয়োগিতায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্যই উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায় এই শ্লোগানকে সামনে রেখে খুলনা জেলা সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) কমিটির সহসভাপতি সাংবাদিক সুনীল দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পদক মাহামুদ হাসান রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিরুল হক বাচ্চু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির খুলনা নগর কমিটির সভাপতি এইচ এম শাহাদত, শিক্ষক নেতা নিতাই পাল, নাগরিক নেতা এ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, ছায়বৃক্ষর নির্বাহী পরিচালক মাহাবুব আলম বাদশা, সিডিপির বিভাগীয় সমন্বকারী এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের মাহাসচিব এম এ কাসেম সুনাস জেলা কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক পঞ্চানন ম-লের অর্থ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বাপি, সদস্য ফরহাদ হোসেন মিটন, হাসান মাহাফুজ, সুনাম দাকোপ উপজেলা কমিটির সভাপতি সাগর সেন, সাধারন সম্পাদক সুপ্রিয় সাহা, সভাপতি সুনাম দিঘলিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান স্বপন, সাধারন সম্পাদক বেনজির আহমেদ মুকুল, সুনাম বটিয়াঘাটা উপজেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক সুভজিত মন্ডল, সদস্য মোঃ শাওন হাওলাদার, বৃষ্টি গাইন এবং হিউম্যানিটিওয়াচের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সেলিম ।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২০১৩ সালের উপস্থাপিত প্রতিবেদনে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপসংহারের কথা উল্লেখ করে বক্তরা সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার, আইনগত ভিত্তি এবং বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রকে সংখ্যালঘুদের সম-নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। জাতীয়তা অথবা গোষ্ঠীগত, ধর্মীয় এবং ভাষাগত সংখ্যালঘুদের অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ ঘোষণাপত্রের অনুচ্ছেদ-১ অনুসারে নিজ নিজ এলাকার মধ্যে প্রত্যেক সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব এবং জাতীয়তা অথবা গোষ্ঠীগত, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত পরিচয় রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেই সঙ্গে রাষ্ট্র তাদের এই পরিচিতির বিকাশলাভের পরিস্থিতিকে উৎসাহিত করবে এবং কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন ও বিধান সৃষ্টি করবে। সুতরাং রাষ্ট্রকেই অনুচ্ছেদ-২ অনুসারে জাতি বা গোষ্ঠীগত, ধর্মীয় এবং ভাষাগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধীনে যে কোন ব্যক্তির সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব সংস্কৃতি পালন বা উপভোগ এবং নিজস্ব সংঘ প্রতিষ্ঠা ও রক্ষনাবেক্ষণের অধিকার দিতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য ১৯৯২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ এক বিশেষ কনভেনশনের মাধ্যমে ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক সংখ্যালঘু অধিকার দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ বছর দিবসটিকে ঘিরে সুনাম উপজেলা কমিটি পক্ষকাল ব্যাপী নানা ধরণের কর্মসূচি আয়োজন করে।