আজগর হোসেন ছাব্বির,দাকোপ : এ কেমন বর্বরতা! পিতার বাড়ী থেকে যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করায় নিজ স্ত্রীর যৌনাঙ্গ ও মলদ্বারে আঠা লাগিয়ে বন্দ করে দিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী উজ্জল সরদার (২৯)। গৃহবধুকে দাকোপ হাসপাতালে ভর্তিসহ পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার মুলহোতাসহ ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার উপকুলিয় উপজেলা দাকোপের বানীশান্তা ঢাংমারী গ্রামে। ভুক্তভোগী পরিবার ও থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বাজুয়া বেড়েরখাল এলাকার পুলিন বৈদ্যের মেয়ে ববিতার সাথে ঢাংমারী গ্রামের নিরাপদ সরদারের পুত্র উজ্জলের বছর খানেক আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে স্বামী দেবর শশুর শাশুড়ী ববিতার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তারই ধারবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে স্বামী উজ্জল কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীকে উলঙ্গ করে এমন বর্বর পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। শক্তিশালী আঠায় গৃহবধুর প্রসাব পায়খানা বন্দ হয়ে গেলে প্রতিবেশীদের সহায়তায় প্রথমে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে পরবর্তীতে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত গৃহবধুর ভাই রবীন বৈদ্য বাদী হয়ে নির্যাতনের সাথে জড়িত স্বামী উজ্জল সরদার, শশুর নিরাপদ সরদার, দেবর তাপস সরদার ও শাশুড়ী নিহারিকা সরদারকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ১১ (গ)/৪ (২) (ক)/৩০ ধারায় দাকোপ থানায় মামলা দায়ের করেছে। যা দাকোপ থানার মামলা নং ৮ তাং ১৯/১২/১৭। দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের নেতৃত্বে থানা পুলিশ সোমবার দিবাগত রাতে গৃহবধুর শশুর ও দেবরকে গ্রেফতার করে। অভিযানের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ফাঁদপেতে কৌশলে মামলার প্রধান আসামী উজ্জলকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে প্রেরন করে।