খুলনা : ‘ আলো ছড়াতে আঁধার তাড়াতে, বই পড়ি পাঠাগার গড়ি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে শনিবার থেকে শুরু হলো আট দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য বইমেলা।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এই বই মেলার ব্যবস্থাপনা করছে খুলনা জেলা প্রশাসন। এই মেলার সহযোগী হিসেবে আছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।
শনিবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন খুলনা -২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
উদ্বোধন পরবর্তী এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বই মানুষের অন্তরকে আলোকিত করে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাই এ ধরণের বইমেলা যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ মেলার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে বই পড়ায় অভ্যস্ত করে তুলতে পারি। তাদেরকে পাঠক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এটা এক দিকে যেমন তাদের জ্ঞানের প্রসার ঘটাবে তেমনি সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, নাশকতা, মাদকের মত ক্ষতিকর ও বিধ্বংসী পথ থেকে বিরত রাখবে। তিনি বই মেলায় এসে বই কিনে আয়োজকদের উৎসাহিত করার জন্য খুলনাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাহবুব হাকিম, বাংলাদেশে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম। পরে অতিথিরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, আট দিনব্যাপী এ বইমেলায় ছয়টি সরকারি এবং ৫২টি বেসরকারি খ্যাতনামা প্রকাশনা সংস্থাসহ মোট ৬৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করছে। মেলা প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে। তবে ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে।