খুলনা : খুলনার শীর্ষ মাদক চোরাকারবারি শাহজাহানের ডেরায় হানা দিয়েছে র্যাব। এ সময় শাজাহানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৯৮ বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৭টায় র্যাব-৬’র সদস্যরা নগরীর মজিদ সরণিতে অভিযান শুরু করে। তবে অভিযান গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
র্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল কোম্পানির কমান্ডার এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে শাজাহান মাদকের বিশাল মজুদ করেছে- মর্মে গোপন খবরের ভিত্তিতে নগরীর মজিদ সরণিস্থ আল আকসা গলির প্রবেশমুখে শাজাহানের মালিকানাধীন সোনালী এন্টারপ্রাইজ ওয়ার্কশপে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৩১ বোতল বিদেশি মদ ও ১৩৬ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়। এ ডেরা থেকে শাজাহানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ দারুস সালাম মহল্লার আলী ক্লাব সংলগ্ন শাজাহানের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এখান থেকে ১০৭ ক্যান বিয়ার ও ২৪ বোতল বিদেশি মদসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের নিয়ে বটিয়াঘাটার সাচিবুনিয়াসহ শাজাহান ও তার সহযোগীদের গোপন আস্তানায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযানে আরও মাদক উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, পিরোজপুরের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে শাহজাহান হাওলাদার। কোটিপতি এ মাদক সম্রাট এক যুগেরও বেশি সময় পদ্মার এপারের অধিকাংশ জেলায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশী মদ ও বিয়ার সরবরাহ করে আসছে। নগরীর অভিজাত সব আবাসিক হোটেল এবং বিভিন্ন ভিআইপি ক্লাবে তার লাইনম্যান মদ ও বিয়ার সরবরাহ করে থাকে। শাহজাহান চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর এবং ঢাকা থেকে এসব মাদকদ্রব্য খুলনায় নিয়ে আসে। এগুলো বিকিকিনির কাজে রয়েছে তার বিশ্বস্ত অর্ধশতাধিক কর্মী। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার এক ব্যবসায়ী শাহজাহানকে মদ সরবরাহ করে থাকে। সে খুলনার আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণীর অসাধু সদস্য এবং কতিপয় অসৎ রাজনীতিককে অর্থ এবং ফ্রি মাদক সরবরাহের বিনিময়ে ম্যানেজ করে এ ব্যবসা করার সুযোগ পায় বলে অভিযোগ রয়েছে।