বিজ্ঞপ্তি : খুলনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব, এস.এম শফিউল্লাহ (বিপিএম) মহোদয়ের নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনার ইনচার্জ সেখ কনি মিয়া এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) রাজিউল আমিন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ফুলতলা থানা এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান ডিউটি করা কালীন ০১ টি ট্রাক যোগে চোরাই মালামাল নিয়ে যাবে মর্মে গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার বিকেলে গত মামলার ঘটনাস্থল ফুলতলা থানাধীন বেজেরডাঙ্গা বাজারস্থ জনৈক বক্কারের ‘‘স’’ মিলের সামনে (খুলনা টু যশোর মহাসড়কের) ১ম স্প্রিড ব্রেকারের উপর চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে সোর্সের দেওয়া তথ্যানুযায়ী একটি বড় ট্রাক খুলনা হতে যশোরের দিকে যাওয়ার সময় থামার সিগন্যাল দিয়ে উক্ত ট্রাকটি থামালে আসামি ১। জিয়াউর রহমান (৪৩), পিতা-মৃত শামছুর রহমান, মাতা-লাইলী বেগম, ২। মোঃ আসাদুজ্জামান মোল্যা ওরফে রনি (৩৫), পিতা- হানিফুর রহমান মোল্যা, মাতা- মুনজিরা বেগম, উভয়সাং-সিদ্ধিপাশা, থানা-অভয়নগর, জেলা-যশোর, ৩। নাজিম মোল্যা (২৫), পিতা-সিদ্দিক মোল্যা, মাতা-মরিয়ম বেগম, ৪। জুয়েল খান (২৪), পিতা-আইয়ুব খান, মাতা-জরিনা বেগম, উভয়সাং-অম্বিকাপুর,৭ নং ওয়ার্ড, থানা-ফরিদপুর সদর, জেলা-ফরিদপুরদেরকে ধৃত পূর্বক তাদের হেফাজতে থাকা ট্রাকের মধ্যে হতে ১। ৪৩ (তেতাল্লিশ) টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারে ব্যবহৃত সাদা রংয়ের ব্যাটারি, ২। ৯০ (নব্বই) টি পাওডার ব্যবহৃত বিভিন্ন সাইজের ও রঙের ব্যাটারী, ৩। ১১ (এগার) টি পানি ব্যবহৃত বিভিন্ন সাইজের ও রঙের ব্যাটারি, ৪। ০১ টি হলুদ ও নীল রংয়ের ট্রাক উদ্ধার পূর্বক সাক্ষীদের সম্মুখে ২১/০৭/২০২০ খ্রিঃ তারিখ ১৯.২৫ ঘটিকার সময় জব্দতালিকা মূলে জব্দ করেন। আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, উদ্ধারকৃত ব্যাটারিগুলি চোরাই। তারা দীঘদিন যাবৎ খুলনা সহ আশপাশ এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের চোরাই ব্যাটারি সংগ্রহ করিয়া খুলনা জেলার আশাপাশ এলাকাসহ যশোর ও ফরিদপুর জেলায় বিক্রয় করিয়া থাকে মর্মে স্বীকার করে। আসামীগন আন্তঃজেলা চোরাই মোবাইল টাওয়ারের চোরাই ব্যাটারি ক্রয়-বিক্রয় দলের সক্রিয় সদস্য। এ সংক্রান্তে জেলা গোয়েন্দা শাখা, খুলনার এসআই (নিঃ)/ রাজিউল আমিন বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন।