চট্টগ্রামে সাজানো মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তাকে ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২১-০৫-১৭ - ১৮:৫৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে পটিয়ার এক ব্যাংক কর্মকর্তা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসলে ঘর থেকে ডেকে নগরীতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া মৌলভী হাট এলাকার আব্দুর রশীদের পুত্র সামশুল হুদা জিকু(২৬), বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক বগুড়া জেলার কাহালু শাখায় সহকারী অফিসার হিসেবে কর্মরত। বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরা এলাকার এক মেয়ের সাথে ব্যাংক কর্মকর্তা সামশুল হুদা জিকুর সাথে ২০১৮ সাল থেকে সর্ম্পক। সর্ম্পকের কারণে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো এবং ছবিও তুলেন। দীর্ঘদিনের প্রেমের এক পর্যায়ে মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন জিকুকে। ব্যাংক কর্মকর্তা জিকু বিয়েতে রাজি হলেও বিয়ের বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন রাখার শর্ত ছিল। এতে চলতি বছর মেয়েটি সাথে ভোলা জেলার  অন্য এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা উক্ত মহিলার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ উঠে। ২০২০ সালে জিকুর ইসলামী ব্যাংকে চাকরি হয়। গত ১৩ মে ব্যাংক কর্মকর্তা ঈদের ছুটিতে বাড়িলে আসলে প্রেমিকাকে ইমুতে ম্যাসেজ পাঠিয়ে নগরীর কোতোয়ালী মোড়ে দেখা করতে বলেন। দেখা না করলে ছবিগুলো ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেন। গত রবিবার ১৬ মে  ঈদের পরদিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে কৌশলে পটিয়া বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নগরীর কোতোয়ালী মোড়স্থ একটি আবাসিক হোটেলের রুমে নিয়ে ছবিগুলো মুছে ফেলতে চাপ দেন। ছবিগুলো মুছতে না চাইলে পুলিশকে ডেকে পরিকল্পিতভাবে  ধর্ষন চেষ্টা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় বলে আবাসিক হোটেলে দায়িত্বরতা জানান। ব্যাংক কর্মকর্তা নিজে হোটেলে আসতে না চাইলেও জোর করে তাকে হোটেলে যেতে বাধ্য করেছে। মামলায় ফাঁসানোর এ বিষয়ে মামলার বাদী জানান, আমি তাকে গ্রাম থেকে শহরে ডেকে এনেছি এটা সঠিক, পুলিশকে আগে বিষয়টি জানিয়ে রাখার বিষয়টিও সঠিক, সে যদি হোটেলে আমার সাথে বসে ছবিগুলো মুছে ফেলত সমাধান হয়ে যেত, আমি চেয়ে ছিলাম সব কিছু ভুলে ছবিগুলো সে মুছে ফেলবে, কিন্তু সে ছবিগুলো নিয়ে আমার সাথে প্রতারণা এবং জিম্মি রাখার কৌশল হিসেবে নিয়েছে। আমার সংসারে আগুন জ্বালিয়ে দিবে আমি কি তাকে ছেড়ে দিব? ভাবছিলাম বিষয়টি সহজে ছেড়ে দিব এখন উনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমার খেলতে হবে।
ব্যাংক কর্মকর্তাকে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশ কমিশনার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানায়।
এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার পিতা আব্দুর রশীদ জানান, আমার ছেলের ব্যাংকে চাকুরী হওয়ার পর মেয়েটা বিয়ে করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। বিভিন্ন সময় আমার ছেলের কাছ থেকে টাকা পয়সাও নিতেন মেয়েটি। আমার ছেলে বাড়িতে আসলে কৌশলে শহরে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে।  আমার ছেলের বদনাম আছে এরকম কেউ বলতে পারবে না চরিত্রবান একজন ছেলে, ঘটনার বিষয়টি সঠিক তদন্ত করলে আমার ছেলের কোন দোষ পাবে না বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ নেজাম উদ্দীন বলেন,এ ধরণের  ঘটনায় কেউ অভিযোগ অথবা পুলিশ খবর পেলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য। বিষয়টি তদন্তে পরবর্তীতে মূল বিষয় বের হয়ে আসবে বলে তিনি জানান।