নির্মমতা কতদূর গড়ালে জাতি হবে নির্লজ্জ

প্রকাশঃ ২০১৭-০৭-১১ - ০০:৫৮

আবুল কালাম আজাদঃ এমন বর্বরতা আর কত সহ্য করবে বাংলাদেশ? দিনে দিনে ভারী হচ্ছে নির্যাতিতাদের মিছিল! সংখ্যায় বাড়ছে অসভ্য নরপিশাচ আর মানুষ নামের জানোয়ারদের দল।
কোথায় মানবাধিকার, কোথায় বিচার ব্যবস্থা? এদের দৃস্টান্তমুলক শাস্তির অভাবেই হয়তো বাড়ছে এমন অপরাধ! বহি:বিশ্বে ক্ষুন্ন হচ্ছে সরকার, দেশ ও জাতির সুনাম।

জানি, অনেকেই এই পোস্ট দেখেই সরব হয়ে উঠবেন। বলবেন “প্লিজ এই ছবিটা সরান, সহ্য করতে পারছিনা”।
আমি সরাবোনা। কারণ, আপনাদের দাবি অন্যায্য। আপনারা সহ্য করতে পারেন। আমিও পারি। আর তাই এভাবে একজন আয়শা লতিফ জলপাই রঙের ছাতায় নিজেকে মুড়ে নিয়ে পাশ কাটাতে অনেক আবোলতাবোল বলে সেল্ফ সাপোর্ট করার নির্লজ্জ চেষ্টা করতে পারেন।

এই ছবিটা ফেনীর আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের স্ত্রীর হাতে খুন্তি নামক অস্ত্রের (!) ছ্যাকায় পুড়ে কয়লা হওয়া সেই বাসার গৃহকর্মীর। আমরা সহ্য করতে পারি বলেই কমিউনিটি সেন্টারের মালিকের স্ত্রীর হাতে আবারো এভাবে শিশু নির্যাতন হয়। আমরা সহ্য করি বলেই প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিশুরা ধর্ষিত হয়, তনু ধর্ষন আর হত্যার বিচার হয়না। আমাদের সহ্য ক্ষমতা বড়জোর মানব বন্ধন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়দিনের কলমবাজিতে আটকে থাকে। এর মাঝেই খুন্তি নামক অস্ত্র হাতে অন্যকোথাও আরেকজন গৃহকর্মী নামক উপাধি প্রাপ্ত কৃতদাসীকে নির্যাতনে মেতে ওঠে, অন্যকোথাও আরেকটি দেবশিশু ধর্ষিত হয়।

যেদিন আমরা সত্যিকারেই সহ্য করতে পারবোনা, গর্জে উঠবো সত্যিকার সাহসী প্রতিবাদে সেইদিন এইছবি আমি আমার ওয়ালে রাখবোনা। এই ছবি রেখে এমন পাশবিক নির্যাতনের বিচার চাইবোনা। কসম, যেইদিন এই দেশে প্রতিটি শিশু, শিশুর অধিকার নিশ্চিত করে পাবে সেইদিন আমি নিজেই এমন সব কুৎসিত ছবি প্রত্যাহার করে নেয়ার আহবান জানাবো সবাইকে।