পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ

প্রকাশঃ ২০২১-০৮-২২ - ০৯:১৫

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া করতে এসে স্বামীর হাতে ধরা খেলেন পুলিশ সদস্য রিয়াজুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকার কয়েক শ লোক জড়ো জড়ো হয়ে পুলিশ সদস্যকে আটক করে।

ওই নারীর স্বামী বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে রিয়াজুলকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর থানার হেফাজতে নিয়ে যায়। রিয়াজুল ভোলা জেলা নৌ পুলিশে কর্মরত আছেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।

এ ঘটনায় আজ শনিবার সকালে ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকার কাছে এ ব্যাপারে আইনগত সহযোগিতা পেতে লিখিত আবেদন করেন।

ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘গোপালগঞ্জে চাকরি করার সুবাদে পুলিশ সদস্য রিয়াজুল আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিষয়টি আমি জানতে পেরে উভয়কে বিভিন্নভাবে, এমনকি আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করি। কিন্তু আমার কথায় কর্ণপাত না করে তাঁরা অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যান। আমার স্ত্রী সব সময় তাঁদের এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত এক বছর আমাদের সংসারে নানা অশান্তি লেগে আছে। এর মধ্যে আমি মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়ি। আমার স্ত্রী আমাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তোড়জোড় শুরু করেন।’

ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘আমার স্ত্রী প্রলোভন দেখিয়ে পৈতৃকসূত্রে পাওয়া আমার একটি মূল্যবান জমি তাঁর নামে দানপত্র দলিল করিয়েও নেন। এ ছাড়া আমাদের পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে একই মহল্লায় আলাদা বাসা ভাড়া নিতে আমাকে বাধ্য করেন। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের সত্যতা যাচাই ও হাতেনাতে তাঁকে ধরতে ব্যবসায়িক কাজে আমার খুলনায় যাওয়ার কথা বলি। ১৮ আগস্ট থেকে জরুরি প্রয়োজনে আমার খুলনায় রাত্রি যাপন করতে হবে বলে আমার স্ত্রীকে জানিয়ে আমার এক বন্ধুর বাসায় গিয়ে উঠি। এ সময় আমাদের ভাড়ার বাসা ফাঁকা পেয়ে আমার স্ত্রী ওই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ওই বাসায় রাত্রি যাপন করেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করার পর আমি বাসায় গিয়ে তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলি। এরপর গোপালগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং থানার হেফাজতে রাখেন।’

ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি তাঁর স্বামীকে এক বছর আগে তালাক দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু এ–সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি তিনি।

গোপালগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল বালা বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।