পাইকগাছায় নির্বাচনী সহিংসতায় ভাংচুর হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ আহত ২০

প্রকাশঃ ২০২১-০৩-২৮ - ১৭:০৯

পাইকগাছা : পাইকগাছায় সোলাদানায় ইউপি নির্বাচনী পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আ’লীগ প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান সহ উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষকালে ঘর-বাড়ী ও একাধিক মটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ১০ রাউন্ড গুলিবর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইউএনও,এসিল্যান্ড,ডিবি ওসি,থানা ওসি ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ৩ জনকে আটক করেছেন। শনিবার সকালে সোলাদানা ইউপি’র বেতবুনিয়া মাদরাসা মোড়ে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ জানিয়েছেন শনিবার সকালে বেতবুনিয়া মাদরাসা মোড়ে আ’লীগ প্রার্থী ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মান্নান গাজীর নির্বাচনী অফিসের কাছে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপি নেতা এসএম এনামুলের কর্মী টিক্কা ও আনার সহ কযেকজন তাদের আনারস প্রতিকের পোষ্টার লাগাচ্ছিল। এ সময় আ’লীগ প্রার্থী সমর্থিতরা তাদের নির্বাচনী অফিসের কাছে পোষ্টার লাগাতে বাঁধা দিলে দু’পক্ষেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সায়েদ আলী মোড়ল কালাই মিমাংসা করে পোষ্টার লাগানোর কথা বলেন। এর পর পরই টিক্কা সহ তাদের কর্মীরা ঘটনাটি মোবাইলে জানাজানি করলে এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ১৩/১৪ টি মরটসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছানো মাত্রই তার সমর্থকরা আ’লীগ সমর্থকদের উপর হামলা করে। হামলা ও মরপিটে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সালাউদ্দীন সানা ও মুছা মোড়ল রক্তাক্ত জখম হয়। এদিকে এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে নৌকা প্রতিকের কর্মী সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে পাল্টা হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধলে এক পর্যায়ে রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওসি এজাজ শফীর নির্দেশে পুলিশ ১০ রাউন্ড সটগানের গুলি বর্ষন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক ও আ’লীগ প্রার্থীর ভাই রবিউল গাজী সহ উভয় পক্ষের কর্মী- সমর্থরা রক্তাক্ত জখম হয়ে আহত হন। এ সময় ৭ টি মটর সাইকেল,একটি চাযের দোকান, লাভলু ও মনিরার ঘরবাড়ী ও আসবাস পত্রের ভাচুরের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন নিছার ফকির, রসুল গাজী, বারিক সরদার, আফজাল হোসেন, শামিম আরশাদ, কিশোর, সুকৃতি, প্রনব, কালীপদ, সুশাংকর, মুরশিদুল, ফিরোজ সহ অন্যান্য আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। হাসপাতালে আহতদের ছবি তেলার সময় লাঞ্ছিত করে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন সংবাদ কর্মী আছাদুল ইসলাম। এদিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চেয়ারম্যান এনামুল সহ ৫ জনকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানপ্রার্থী এনামুল সমর্থক ও আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান গাজী সমর্থকরা পরস্পরকে দায়ী করেছে। ওসি মোঃ এজাজ শফী, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের কথা বলে জানান, সংঘর্ষকালে ভাংচুরের আলামত সংগ্রহ করে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।