ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটা উপজেলার হাটবাড়ীয়া(বড়) জে,এল নং ১২ ও হাতালবুনিয়া জে,এল নং ১৬ মৌজার ভূমি জরিপ কার্যক্রম আগামী ১ ফেব্রুুয়ারী থেকে শুরু হাচ্ছে। এদিকে জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে এ দু’টি মৌজায় জিওডেটিক সীমানা পিলার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা সেটেলমেন্ট সূত্রে জানা যায় হাটবাটি(বড়) ও হাতালবুনিয়া মৌজার ভূমি জরিপের জন্য ২২ জুন ২০১৭ ্তারিখ ৮৬ নং স্মারকে কর্তপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হয়। ভূমি জরিপ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তারিখ থেকে এ দু’টি মৌজার ভূমি জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। ইতিমধ্যে জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে প্রাথমিকভাবে সার্ভেয়ার কর্তৃক ২টি মৌজায় জিওডেটিক সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। হাটবাড়িয়া(বড়) মৌজায় ১ নং পিলার এস,এ, প্লট ২৪৬ নং দাগে সেবাপদ দাসের বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে স্থাপন করা হযেছে। ২ নং পিলার এস,এ প্লট ২৪৭ নং দাগে কালিপদ রায়ের বাড়ীর কাছে স্থাপন করা হযেছে এবং হাতালবুনিয়া মৌজায় ৩ নং পিলার এস,এ প্লট ৫৭৩, ৫৭৪, ৫৭২ ও ৫৭৯ নং দাগে খুলনা-১ আসনের সাংসদ পঞ্চানন বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ীর পার্শ্বে ও ৪ নং পিলার এস,এ প্লট-৫৭২, ৫৭৪ নং দাগে প্রেম কানন রোডের উত্তর পার্শ্বে স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে জরিপ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা করতে বটিয়াঘাটা সেটেলমেন্ট অফিস আগামী ২২ জানুয়ারী বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক গণসচেনতা মূলক সভার আহব্বান করেছে। অন্যদিকে উপজেলার জলমা ইউনিয়নের জলমা, মাথাভাঙ্গা, তেঁতুলতলা ও রাঙ্গেমারী মৌজার ভূমি জরিপ কার্যক্রমও শুরু হতে যাচ্ছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় জলমা ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উক্ত ৪টি মৌজারজরিপ সংক্রান্ত প্রাথমিক গনসচেনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মো: শাহ আলম সরদার, উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান, খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের প্রধান সহকারী শেখ আমিরুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার শফিকুল ইসলাম, বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, জলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশিকুজ্জামান আশিক প্রমূখ। উক্ত সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জলমা ইউনিয়নের ৪টি মৌজার জরিপের জন্য জরিপ কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হয়। সুপারিশটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট জরিপ কতৃৃপক্ষ জলমা, তেঁতুলতলা, মাথাভাঙ্গা ও রাঙ্গেমারী মৌজা জরিপের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে বলে একটি সূত্রে জানিয়েছে। ইতিমধ্যে উক্ত ৪টি মৌজার জিওডেটিক সীমানা পিলার স্থাপনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। সীমানা পিলার স্থাপন হলে জরিপ কার্যক্রম শুরু হবে। এ ব্যাপারে জরিপ সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের একটি সূত্র দাবী করছে বাংলাদেশে এই জরিপের পরে আর কোন জরিপ কার্যক্রম হবে না। অন্যদিকে জলমা, তেতুলতলা ও রাঙ্গেমারী মৌজা(দেয়াড়া) জরিপের এক মৌজার জমি অন্য মৌজার ভিতরে ঢুকাইয়া দিয়ে একটি কৃত্রিম ভূমি বিরোধের সৃষ্টি হয়ে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে এলাকার ভূমি মালিকদের। এ সকল মৌজার ভূমি মালিকদের বক্তব্য তৎকালীন জমিদাররা মামলা করে রায় ও ডেমাগ্রেশনের মাধ্যমে সেপারেট করে জলমা, তেঁতুলতলা ও রাঙ্গেমারী মৌজার সীমানা নির্ধারন পূর্বক তেঁতুলতলা ও জলমা মৌজার সীমানা রাস্তা নির্মান করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত মামলার রায় আইনে পরিনত হয়। যাহা বাংলাদেশের নদী ভরাটি চরের আইন হিসাবে পরিনত হয়েছে। অথচ দেয়াড়া জরিপে আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে জলমা মৌজার কিছু অংশ তেতুলতলা ও রাঙ্গেমারী মৌজার সাথে সম্পৃক্ততা করে। এতে এ সকল মৌজার ভুমি মালিকগন নানা ধরনের সমস্যায় পড়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মানুষ জলমা মৌজার সীমানা পিলার এস,এ জরিপ অনুসারে স্থাপন করার আবেদন করেছে। এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা সহকারী সেটেলমেন্ট শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারী থেকে উপজেলার হাটবাড়িীয়া(বড়) ও হাতালবুনিয়া মৌজার ভুমি জরিপ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে জলমা ইউনিয়নের জলমা, মাথাভাঙ্গা, তেতুলতলা ও রাঙ্গেমারী মৌজার ভুমি জরিপ কার্যক্রম হবে। তিনি জরিপ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, প্রশাসন ও সাধারন মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।