আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ : দাকোপের নলিয়ানে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও ৫ লক্ষাধীক টাকার কাকড়া জব্দ করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করলেন কোষ্টগার্ড পশ্চিম জোনের নলিয়ান অফিসের গোয়েন্দা সদস্য মাসুদরানা। কোষ্টগার্ডের সোর্সদের বিরুদ্ধে চাদাবাজির অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারী বেলা দেড়টার দিকে কোষ্টগার্ডের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাসুদরানা নলিয়ান কাছারীপাড়া এলাকা থেকে ১৯ বস্তা কাকড়া জব্দ করে। এ সময় কাকড়ার মালিক হ্যাচারী ব্যবসায়ী বনি আমিন শেখ জব্দকৃত কাকড়ার বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন পরে। ব্যবসায়ী বনি আমিনের অভিযোগ মতে কাগজপত্র দেখানো সত্বেও কোষ্টগার্ড কর্মকর্তা কাকড়া জব্দ করে স্থানীয় বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে বনবিভাগ প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকার কাকড়া নদীতে অবমুক্ত করে। বনবিভাগ সুত্র জানায় তারা কোষ্টগার্ডের কাছ থেকে ১৪ বস্তা কাকড়া পেয়েছে। তাহলে বাকী ৫ বস্তা কাকড়া কোথায় গেল তার সদুত্তর কোন পক্ষ থেকে পাওয়া যাচ্ছেনা। অপর একটি সুত্র জানায় ওই ৫ বস্তা কোষ্টগার্ডের সোর্সদের মধ্যে বন্টন হয়। কোষ্টগার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসার পর সংস্থাটির মংলা অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সরেজমিন তদন্তে এসে ভুক্তভোগী হ্যাচারী মালিক ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পায় বলে জানা গেছে। অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সোর্স আছাদুল শেখ ও খোকন শেখের বিরুদ্ধে গনস্বাক্ষরকৃত এক অভিযোগপত্র নলিয়ান কোষ্টগার্ড অফিসের ইনচার্জ বরাবর দাখিল করেছেন। যেখানে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধীক মানুষ অভিযোগ আনেন উল্লেখিত সোর্সদ্বয় এ ঘটনায় ১৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করে। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন সময় কোষ্টগার্ডের অভিযানের ভয় দেখিয়ে চাদাবাজি করছে মর্মে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাসুদ রানার সাথে কথা হলে তিনি বলেন কাকড়ার ব্যাপারে বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ১৪ বস্তা জব্দ করা হয় বলে তিনি দাবী করেন। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খাদিজা আকতার বলেন বৈধ কাগজপত্র দেখানো সত্বেও কোষ্টগার্ড সেটিকে আমলে না নিয়ে কাজটি করেছেন।