খুলনা : খুলনায় এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের মামলায় আটজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার খুলনার মহানগর শিশু আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ চারজন কিশোর অপরাধী রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ১৮ ফেব্রুয়ারি পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে মামলা করা হয়।
র্যাব-৬’র স্পেশাল কোম্পানির ওয়ারেন্ট অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটজনকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
আসামিরা হচ্ছেন, খালিশপুরের কাশিপুর এলাকার মো. খায়রুল ইসলাম শাওন, মো. সাব্বির হোসেন, খালিশপুর বিআইডিসি রোড বঙ্গবাসী স্কুলের সামনের এলাকার মো. ইব্রাহিম আল নাঈম, দৌলতপুর আঞ্জুমান রোডের মোনায়েম সাহরিয়া রাফি, দৌলতপুর পাবলা মধ্যপাড়ার মো. সাজিদ মল্লিক, খালিশপুরের উত্তর কাশিপুর এলাকার মো. সাব্বির হোসেন রিয়াজ, দৌলতপুর পাবলার মো. আরাফাত হোসেন সাকিব, দৌলতপুর বাজার স্বর্ণপট্টি এলাকার চয়ন রায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চলামান এসএসসি পরীক্ষায় বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় (সৃজনশীল) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৭ ফেব্র“য়ারি। ওইদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর আগেই ৮টার দিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে বিভিন্ন নামে ভুয়া একাউন্ট খুলে ৩-৪শ টাকায় প্রশ্নপত্র বিক্রি করা হয়। ১৭ ফেব্র“য়ারি গোপন খবরে র্যাব-৬ স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার এনায়েত হোসেন মান্নানের নেতৃত্বে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত নয়জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে র্যাব-৬ কয়েকটি ফেসবুক একাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। এর মধ্যে সাইন্স এক্সাম ২০১৮, তোমার স্মৃতিগুলো, সুমাইয়া নামের ভুয়া আইডি। এগুলোর অ্যাডমিন শনাক্তের বিষয়ে র্যাবের অভিযান চলছে। আটক নয়জনের মধ্যে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়।