খুলনা : খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আহাদের আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) যোগদানের এক বছর পুর্তি হবে। গত বছর ১৫ মার্চ তিনি এই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে একের পর নানা পদক্ষেপ গ্রহন করায় কলেজের ভাবমুর্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই কোনদিনও কলেজ ও শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ হয়নি।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আহাদ বলেন, কলেজের উন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠুভাবে ফিরিয়ে আনতে আমার পক্ষে একার সম্ভব নয়। সে জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। কলেজ ক্যাম্পাসের রাস্তা ঘাট উন্নয়ন ও সীমানা প্রাচীর নির্মানের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই এ কাজের জন্য পিডাব্লিউডি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়া শুনার মান ও কলেজের ভাবমুর্তি উজ্জল রক্ষার্থে যা যা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই তিনি গ্রহন করবেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সকলের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়েছে। একই ভাবে নার্সিং কোর্স সমূহের পরীক্ষাও সফলতার সাথে সম্পন্ন করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মো আব্দুল আহাদ যোগ দানের পর থেকেই আজ অবদি কোন যোক্তিক কারণ ছাড়াই কলেজ বন্ধ এমনকি ক্লাসও বন্ধ হয়নি।
৪২টি সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সম্বন্বয়ে ঘউঋ (হধঃরড়হধষ উবনধঃব ঋবংঃরাধষ) জাতীয় বিতর্ক উৎসবে খুলনা মেডিকেল কলেজের ভাবমুর্তি অন্যান্য কলেজের নিকট উজ্জল হয়েছে। এছাড়া এই কলেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কলেজ অডিটোরিয়াম ভবন উদ্ধোধন হয়েছে। কলেজের বিভিন্ন বিভাগ সমূহে প্রভাষক পদের শূণ্যতা বহুলাংশে পুরন করা সম্ভব হয়েছে। একই সাথে বেসিক সাবজেক্ট এর সিনিয়র শিক্ষকদের পদসমূহ পর্যায় ক্রমে পূরন করা হচ্ছে। অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আহাদ কলেজে যোগদানের পর থেকেই প্রফেশনাল পরীক্ষার পাশের হার পূর্বের তুলনায় এখন অনেক ভালো। একই সাথে তার প্রচেষ্টায় ছাত্রছাত্রীদের কèাসমুুখী করা সম্ভব হওয়ায় পরীক্ষায় সেন্টআপ করার সময় যে পারসেনটেজ স্বল্পতার জন্য অসুবিধা পড়তে হতো তা এখন দুর করা সম্ভব হয়েছে। সর্ব সাধারনের জন্য কলেজ প্যাথলজি বিভাগে এখন সর্বপ্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে কলেজে নিয়মিতভাবে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা হচ্ছে। সার্বিকভাবে কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো।