সুন্দরবনের কটকা পর্যটন এলাকায় ড্রোন জব্দ

প্রকাশঃ ২০২১-০১-১০ - ১৫:৪৫

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : সুন্দরবনের কটকা পর্যটন এলাকা থেকে একটি ড্রোন জব্দ করেছে বনবিভাগ। সুন্দরবন ভ্রমনে আসা এক পর্যটক ড্রোন উড়িয়ে ভিডিও ধারণ করার সময় শনিবার বিকেলে তার কাছ থেকে ড্রোনটি জব্দ করা হয়। পর্যটনবাহী ‘এম,ভি টাংগুয়ার হাওড়’ নামক একটি লঞ্চে ওই পর্যটক স্বপরিবারে ভ্রমণে আসেন। ড্রোনটি জব্দ করে সুন্দরবনের কটকা ষ্টেশন অফিসে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তা মো: জয়নাল আবেদীন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো: জয়নাল আবেদীন জানান, পর্যটকবাহী ‘এমভি টাংগুয়ার হাওড়’ লঞ্চটি দুইদিনের অনুমতি নিয়ে শনিবার সকালে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। লঞ্চটি বনের গহীনে যাওয়ার পর ওই লঞ্চে থাকা এক পর্যটক ড্রোনটি উড্ডোয়ন করে। ড্রোনটি উড়ানোর পর তা বনবিভাগের নজরে আসে। পরে ড্রোনটি আকাশ থেকে নামিয়ে বনপ্রহরীরা তা জব্দ করে। পরবর্তীতে বনপ্রহরীরা ড্রোনটি নিয়ে কটকা ফরেস্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আবুল কালামের কাছে জমা দেন। ‘এমভি টাংগুয়ার হাওড়’ লঞ্চটি পরিচালনাকারী ট্যুরস অপারেটর টাইগার ট্যুরস লিমিটেডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের করা হবে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
টাইগার ট্যুরস লিমিটেড’র কনসালট্যান্ট মো: ওয়াাকিল আহমেদ বলেন, বনবিভাগ থেকে অনুমতি গ্রহণের সময় বনবিভাগের পক্ষ থেকে ড্রোনের বিষয়ে আমাদেরকে কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। যার ফলে আমরাও অতিথিদের কোন প্রকার নিষেধ করিনি। আমরা জানতামও না যে কারো কাছে ড্রোন আছে কিনা।
শনিবার রাতে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবন একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এখানে অনুমতি ছাড়া ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ। ভিডিও ধারণ বা অন্য কোনো প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করতে চাইলে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়। ওই পর্যটক অনুমতি না নিয়ে ড্রোন উড়ানোয় বনপ্রহরীরা তা জব্দ করেছে। এমতাবস্থায় ওই ট্যুরস অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করে অর্থ দন্ড দেয়ার জন্য কটকার বন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পর্যটকবাহী এম,ভি টাংগুয়ার হাওড় লঞ্চটিতে ৩৫ জন দেশী পর্যটক ছিলেন। তাঁরা টাইগার ট্যুরস লিমিটেড নামের একটি ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা থেকে সুন্দরবন ভ্রমণে আসেন। যার কাছ থেকে ড্রোনটি উদ্ধার করা হয়েছে তিনি পরিবার নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণে এসেছিলেন। নাম প্রকাশ না করে বন বিভাগ জানান, ওই ব্যক্তি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। তিনি শুধুমাত্র শখের বসে সুন্দরবনের মধ্যে ড্রোনটি উড়িয়ে ছিলেন বলে বনপ্রহরীদের কাছে দাবি করেছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারি এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে পূর্ব সুন্দরবন এলাকা থেকে একইভাবে উড়ানো বিদেশী নাগরিকের দুইটি ড্রোন জব্দ করেছিল বনবিভাগ।