মা ইলিশ সংরক্ষণে গভীর সমুদ্রে নৌবাহিনীর বিশেষ অভিযান

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-১৮ - ১৫:১৮

ডেস্ক নিউজ : দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও সমুদ্রসীমা নিরাপদ রাখতে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার এর আওতায় বাংলাদেশের সমুদ্র সীমার অভ্যন্তরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের প্রজনন বৃদ্ধি, দেশি-বিদেশি অবৈধ মৎস্য শিকারিদের অনুপ্রবেশ বন্ধে সমুদ্র ও উপকূলীর এলাকায় এই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯টি যুদ্ধ জাহাজ দেশের ৮টি জেলায় (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বরগুনা এবং বাগেরহাট) ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪’ এর অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করছে।
দেশের সমুদ্র সীমা রক্ষা ও গভীর সমুদ্র ও তৎসংলগ্ন মৎস্য সম্পদে ভরপুর উপকূলীয় অঞ্চলে নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এর মাধ্যমে প্রতিদিন সুবিশাল বঙ্গোপসাগরে বে-আইনি মৎস্য শিকার প্রতিহত করতে কড়া নজরধারী রাখছে নৌবাহিনী। পাশাপাশি, মা ইলিশ সংরক্ষণে দেশের উপকূল এবং অভ্যন্তরিণ অঞ্চলেও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
উক্ত অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এ পর্যন্ত (১০-১৫ অক্টোবর ২০২৪) আনুমানিক ৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মূল্যের প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ মিটার দীর্ঘ অবৈধ জাল ও বিপুল পরিমান ইলিশ মাছ আটক করেছে। আটককৃত এসব অবৈধ জালসমূহ স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে এবং জব্দকৃত ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।
১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই অভিযান আগামী ৩ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত চলমান থাকবে। অভিযান পরিচালনাকালে নৌসদস্যরা প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সংক্রান্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ অভিযান পরিচালনার ফলে দেশের সমুদ্রসীমায় ও অভ্যন্তরিণ নদ-নদীতে জাতীয় সম্পদ ইলিশের প্রাচুর্য্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।
যুদ্ধ জাহাজ বা নৌ জা নিশানের অধিনায়ক কমাণ্ডার মোমিনুল ইসলাম বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গভীর সমুদ্রে অভিযান পরিচলিত হচ্ছে। আমাদের এই অভিযানের উদ্দেশ্য হলো, দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষা করা। পাশাপাশি সমুদ্রে বৈধ মৎস্য আহরণকারী জেলেদের ও নৌজান চলাচলের তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র বিশেষ অভিযান নয় নৌবাহিনীর এই কার্যক্রম সারাবছর পরিচালিত হচ্ছে।