ডুমুরিয়ার সাজিয়াড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় এবার যুবলীগ নেতার পাল্টা মামলা

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-২০ - ২০:৪১

আ: লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া (খুলনা) : ডুমুরিয়ার সাজিয়াড়ায় পুজা মন্দিরের সভাপতিকে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আরো একটি পাল্টা মামলা দায়ের হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই মামলার প্রধান আসামী যুবলীগ নেতা অভিজিৎ কুন্ডু টুটুল আহত পুজা মন্দিরের সভাপতি প্রভাষ বর্ধনকে প্রধান আসামী করে থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ দিকে দ্বিতীয় মামলাটি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বিবরন ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সোয়া ১২ টার দিকে বাদী টুটুল কুন্ডু চাচাতো ভাই পলাশ কুন্ডু(৩৫)কে উপজেলার সাজিয়াড়া মোড় নামক স্থানে একা পেয়ে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে সাজিয়াড়া গ্রামের প্রভাষ বর্ধন, তার ছেলে প্রকাশ বর্ধন ও হৃদয় বর্ধন, কাকা অশোক বর্ধনসহ আরো কয়েকজন হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে আহত করে। ওই সময় পলাশের কাছে থাকা নগত ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা আসামীরা ছিনিয়ে নেয়। তার চিৎকারে বাদী টুটুল কুন্ডু সহ অন্যানরা ছুটে এসে পলাশকে উদ্ধার করে প্রথমে ডুমুরিয়া হাসপাতাল ও পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা অভিজিৎ কুন্ডু টুটুল বাদী হয়ে প্রভাষ বর্ধন তার ছেলে প্রকাশ বর্ধন ও হৃদয় বর্ধন এবং কাকা অশোক বর্ধনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলা নম্বর ১১, তারিখ ১৯/১২/১৭ইং। প্রসঙ্গত গত ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাজিয়াড়া পুজা মন্দিরের সভাপতি প্রভাষ বর্ধনের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা অভিজিৎ কুন্ডু টুটুল, তার চাচাতো ভাই পলাশ কুন্ডু সহ অন্যানদের বসচা হয়। এক পর্যায়ে তারা প্রভাষ বর্ধনকে বেপরোয়া মারপিট করে জখম করে। তাকে ঠেকাতে যেয়ে ছেলে হৃদয় বর্ধন,কাকা অশোক বর্ধন মারাত্তক আহত হয়ে প্রথমে ডুমুরিয়া হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে প্রভাষকে খুমেক হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় আহত হৃদয় বর্ধন বাদী হয়ে অভিজিৎ কুন্ডু টুটুলু, পলাশ কুন্ডু সহ ৬জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জনকে আসামী করে গত মঙ্গলবার দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৯,তারিখ ১৯/১২/১৭ইং। এদিকে অভিজিৎ কুন্ডু টুটুলের দায়ের কৃত মামলা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। প্রথম মামলার বাদী হৃদয় বর্ধন অভিযোগ করে বলেন, একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামী কিভাবে থানায় উপস্থত থেকে বাদী হয়ে আর একটি মামলা করতে পারেন? বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন বলেন, অভিজিৎ কুন্ডু টুটুল বাদী হয়ে প্রভাষ বর্ধন সহ ৬জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। দু’টি মামলার কোন আসামী গ্রেপ্তার নেই।তবে আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। একজন আসামী থানায় হাজির হয়ে কি ভাবে আর একটি মামলার বাদী হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাদীর কম্পিউটারে টাইপকৃত এজাহারের প্রথমে এমন তথ্য থাকলেও শেষ দিকে তিনি নাম উল্লেখসহ একজন প্রতিনিধির মাধ্যমে অভিযোগটি পাঠিয়েছেন বলে বিষয়টি স্পষ্ট লেখা আছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই।