সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া : আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও সহজে আইনি সেবা প্রাপ্তিতে ডুমুরিয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে শুরু করা হয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম।
জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে খোলা হয়েছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। এখানে নিদৃষ্ট করে রাখা হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। স্থানীয় ভাবে সংঘটিত মারামারি, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চুরি, দখলবাজি, লুটপাট, বাল্য বিবাহসহ যে কোন ধরনের অপরাধমুলক কর্মকান্ড ওই অফিসাররা নিয়ন্ত্রণ করবেন। আবার পুলিশের কাছে আইনি সেবা পেতেও এ কার্যালয়ে যেতে হবে। যে কোন ধরনের আইনি সহায়তা পেতে ইচ্চুক জনগণকে আর সারাসরি থানায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এই বিট পুলিশিং কার্যালয়ে মিলবে সমাধান।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, বিট পুলিশিং কার্যক্রম অনেক আগের একটা আইনি প্রথা। মাঝে কিছুটা নীরব অবস্থায় থাকার পরে বর্তমানে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় প্রত্যেক থানায় আবারও জোরদার করা হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে এ প্রথা চালু করেছি। নির্দেশনা মতে অফিসার নিয়োগ শেষে তাদেকে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। পরিষদ ভবনের একটি কক্ষে তারা নিয়মিত অফিস করবেন এবং ওই ইউনিয়নের যাবতীয় আইনি সুবিধা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিবেন। এখন মারামারি হোক, জমি দখল হোক, আর মাদক বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হোক, যে কোন অপরাধের বিষয় নিয়ে জনগণকে আর টাকা খরচ করে থানায় আসার প্রযোজন হবে না। এছাড়াও অনেকে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে, মিথ্যা স্বাক্ষী সাজিয়ে থানায় এসে বিভ্রান্তি সৃস্টি করে। কখনো দেখা গেছে, পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্যায় ভাবে একজন নিরোপদ মানুষকে হতে হয়েছে হয়রানির শিকার। পুলিশের এই প্রথাটি চালু হলে এ ধরনের অপরাধ অনেক দুর হবে। তাই এখন জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং পুলিশের কাজে সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
খুলনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) সজীব খান বলেন, জনগণের ঘনত্ব ও অঞ্চল বিবেচনা করে এই বিট পুলিশিং গঠন করা হয়েছে। প্রতি বিটে দায়িত্বে আছে দুই থেকে তিনজন অফিসার। এখানে তাদের দায়িত্ব হল ওই বিট অঞ্চলের চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণসহ আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করা। আবার কোন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড না ঘটে সেদিকেও খেয়াল রাখা। এখানে পুলিশ জনগণকে সেবা দিবে। কিন্তু এ সেবার নামে কোন অফিসার অনিয়ম বা দুর্নীতি করতে পারবে না। আবার কোন অপরাধীও সহসা অন্যায় বা অপরাধমুলক কাজ করতে পারবে না। কারণ এই বিট কার্যক্রম সার্বক্ষনিক ভাবে মনিটরিং করবেন থানা ও জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।