দাকোপ, খুলনা : খুলনার দাকোপ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে গত প্রায় ৪ বছর যাবৎ দাকোপ প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও)দপ্তরাধীন কোটি কোটি টাকার যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে তার অধিকাংশ কাজই খুবই নিন্মমানের হয়েছে বলে এলাকার অধিকাংশ মানুষের অভিমত । এ সকল কাজের অধিকাংশ রয়েছে ব্রীজ,স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার, রাস্তা সহ গ্রামের নানা শ্রেণীর উন্নয়নমূলক কাজ।খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, দাকোপ পিআইও অফিসের অসৎ দূর্নীতিবাজ কর্মচারি যারা দীর্ঘকাল একই স্টেশনে চাকরি করছে এরাই মূলত পথ দেখায় ঠিকাদারদের কিভাবে ফাঁকিবাজি কাজ করলে অধিক লাভ হবে এবং তারাও ভাগ নিতে পারবে।তারউপরও এর একটি বড় কারন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল কাদের ষ্টেশনে সবসময় না থাকা, কারন অন্য ষ্টেশনেও তাকে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে অনেকদিন ।বিধায় কর্মচারিরাই এখানকার রাজা বিশেষ করে অফিস সহকারি আলম নামের জনৈক একজন ও অফিস না বহিরাগত চালনার মফ নামের মোটর ড্রাইভার একজন এ ২জন দীর্ঘদিন যাবত অফিসটি গ্রাস করে চলেছে বলে জানা গেছে।আলমকে তো স্যার বলে সম্মোধন না করলে ক্ষেপে যান এবং তার কাজ করে দিতে চান না বলে অনেক ইউপি সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের অভিযোগ রয়েছে।আলম নামে পরিচিত এই ব্যাক্তি একযুগেরও বেশি কাল যাব দাকোপে চাকরি করছে এবং খুলনার নিরালা অভিজাত আবাসিক এলাকায় প্রসাদসম বাড়ি হাকিয়েছেন বলে খবর আছে।তবে দাকোপের সকলের সিনিয়র ১ম শেণীর একজন ঠিকাদার প্রশান্ত কুমার বাবু সাহা এ প্রতিনিধিকে জানান,পিআইও আব্দুল কাদেরের অধীনে আমরা বেশ কাজ করেছি কখনও হয়রানীর শিকার হইনি।তিনি যতেষ্ঠ ভাল মানুষ বলেই জানি।আর বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন মেম্বও ও রাজনৈতিক নেতারাদেও সকলের অভিযোগ অফিস সহকারি আলম ও বহিরাগত ড্রাইভারের বিরুদ্ধে।তাদেও স্পষ্ট বক্তব্য আলম আর ড্রাইভার মফে অফিসটির বারোটা বাজাচ্ছে।