ফুলতলার দামোদর স্কুলের দুই ছুরিকাঘাত ঘটনায় মামলা নতুন করে গ্রেফতার নেই

প্রকাশঃ ২০২৫-০১-২০ - ১৯:৫৯

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// খুলনার ফুলতলার দামোদর এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে অন্য কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। গ্রেফতারকৃত হাসিব শেখ (২০) ও বাধন মিনা (১৮) কে সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ছুরিকাঘাতে আহত রউফুল কায়েস ঈশান (১৬) এর বড় ভাই মোঃ ইমরুল কায়েস রওফে সিজান বাদি হয়ে হাসিব শেখ (২০), বাধন মিনা (১৮) সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। দামোদর এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত পিঠা মেলায় ওই স্কুলের মেয়েদের বহিরাগত কতিপয় বখাটে ইভটিজিং করে। এর প্রতিবাদ করায় বহিরাগত বখাটেরা বিদ্যালয়ের প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের কৌশলে তাদেরকে স্কুলের পিছনে বাথরুমের কোনায় নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এতে দামোদর গ্রামের তৌহিদ আজম বুলবুলের পুত্র রউফুল কায়েস ঈশানের পিঠে ও কোমরে এবং একই গ্রামের মৃতঃ আব্দুল খালেকের পুত্র তামিম মাহমুদ তামিমের মাথা ও কপালে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হলে তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা তাদের দ্রæত উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই সুকান্ত কর্মকার বলেন, গ্রেফতারকৃত হাসিব শেখ ও বাধন মিনাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এজহারভুক্ত অপর আসামীকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে। আহতরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মাঠে রোববার দুপুর ১২টায় পিঠা মেলায় মেয়েদের ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় বহিরাগত বখাটেদের ছুরিকাঘাতে বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী দুই ছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে। জখমকৃত শিক্ষার্থী তামিম মাহমুদ (১৭) ও রউফুল কায়েস ঈশান (১৬) কে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বহিরাগত সন্ত্রাসী হাসিব শেখ (২০) ও বাধন মিনা (১৮) কে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করেছে।