ফুলতলায় ফুফাতো ভাই কর্তৃক ধর্ষণ অতপর অন্তঃসত্ত্বা মামাতো বোনের অবৈধ গর্ভপাতঃ ধর্ষকসহ আটক ৩

প্রকাশঃ ২০১৯-০৯-১৯ - ২০:৩৪

ফুলতলা অফিসঃ খুলনার ফুলতলার পায়গ্রাম কসবা গ্রামে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরী (১৫) কে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে অবৈধ গর্ভপাত ঘটনায় ফুলতলা থানায় ধর্ষক ও তার ২ সহযোগির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ ৩ আসামীকেই আটক করে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন, ধর্ষকের জবানবন্দী গ্রহণ শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ফুলতলার পায়গ্রাম কসবা গ্রামের সৈয়দ আমজাদ হোসেনের পুত্র সৈয়দ ইসরাইল হোসেন রাজুর বাড়ীতে তার এক ভাইঝিকে লালন পালন করেন। সে ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। গত ৪ মাস পূর্বে স্ব-পরিবারে ইসরাইল হোসেন রাজু কয়েক দিনের জন্য সাতক্ষীরাস্থ শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করেন। এদিকে যশোরের ভাতুড়িয়া দাড়িপাড়া গ্রামের কাজী হাবিবুর রহমানের পুত্র ও রাজুর ভাগ্নে কাজী রাসেল (১৯) মামাবাড়িতে এসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করে। সম্প্রতি ঐ কিশোরী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ডাক্তারের নিকট নেয়া হয়। বিভিন্ন পরীক্ষার পর চিকিৎসক তার অন্তঃসত্ত¡ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে রাসেলের বড় ভাই কাজী মিরন (২৫) ও মিরনের স্ত্রী প্রিয়া খাতুন (২০) কৌশলে তাকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে বুধবারতদ ইসরাইল হোসেন রাজু বাদি হয়ে কাজী রাসেল, কাজী মিরান ও প্রিয়া খাতুনকে আসামী করে থানায় মামলা (নং-১০, তারিখ-১৮-৯-২০১৯ইং) করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রতনুজ্জামান বলেন, এজাহারভুক্ত ৩ আসামীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন এবং অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট আসামী রাসেলের জবানবন্দী গ্রহণ শেষে ৩ আসামীকেই জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।