ফুলতলায় মাছ চোরদের বিরুদ্ধে মৎস্যচাষীদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ

প্রকাশঃ ২০১৭-০৭-০৯ - ২০:২৬

তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা, খুলনা, প্রতিনিধিঃ খুলনার ফুলতলা উপজেলার বিলডাকাতিয়া ও ভুলাপাতা বিলে অবস্থিত মৎস্য ঘেরে চিংড়ি ও সাদা মাছ চুরি ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাছ চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রোববার দুপুরে শতাধিক নারী-পুরুষ মৎস্যচাষী (ঘের মালিক) উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ, ইউএনও এবং মৎস্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তওে স্মারকলিপি দিয়েছে। আগামী ৩দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মাছ চাষ বন্ধের ঘোষনা দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীরা।
ফুলতলার বিলডাকাতিয়া এবং ভুলাপাতা বিলের শতাধিক মৎস্য চাষী তাদের ঘেরের মাছ চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গতকাল বেলা ২টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ এবং ইউএনও মাশরুবা ফেরদৌস এর কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সাদা সোনা হিসাবে খ্যাত এ অঞ্চলের গলদা চিংড়ি ও দেশিও বাজারে আমিষের ঘাটতি পুরণকারী সাদা মাছ চাষে সমৃদ্ধ এ দুই বিলের মৎস্য ঘের। মওসুমের শুরুতে মৎস্য চাষীরা ব্যাংক, এনজিও এবং সমিতি থেকে ঋণ ও পুজিপতিদের কাছ থেকে চড়া সুদে দাদন নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে। জমির হারি বা লিজ, চিংড়ি রেনু ও মাছের পোনা এবং পর্যাপ্ত খাবারের ব্যয় শেষে নির্দিষ্ট সময়ে চিংড়ি ও সাদা মাছ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের পর অবশিষ্ট কিছু থাকলে সেটি দিয়েই তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এলাকার চিহ্নিত চোরেরা কতিপয় ডিপো মালিকদের সাথে যোগসাজসে গভীর রাতে মৎস্য ঘেরে ট্যাবলেট, বিষ প্রয়োগ করে চিংড়ি ও সাদা মাছ ধরে বিক্রি করে দেয়। আবার কোন কোন সময়ে জাল, নেট ও রামানি দিয়ে মাছ চুরি করে। একদিকে যেমন মাছ চাষীরা ঘেরের মাছ হারিয়ে দেনার দায়ে সর্বশান্ত হচ্ছে অপরদিকে মাছ চোর ও ডিপো মালিকেরা অল্প দিনেই লাখোপতি বনে যাচ্ছে বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। মাঝে মধ্যে মাছ চোর হাতে নাতে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি এমন অভিযোগ জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত মৎস্য চাষী বেগুনবাড়িয়া গ্রামের আঃ সালাম মোল্যার। আগামী ৩দিনের মধ্যে চিহ্নিত মাছ চোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মৎস্যচাষীরা মাছচাষ বন্ধসহ কর্মসূচি পালন করবে বলে ঘোষনা করে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করা হয়।