স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার রূপসায় পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে রূপসা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মফিজুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বিউটিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে রূপসা থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রূপসা থানা পুলিশের ওসি মোল্লা জাকির হোসেন শনিবার রাতে এ প্রতিবেদককে জানান, এ ঘটনায় রাতে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাদী হয়ে থানায় দুটি মামলা করেছে। ওই মামলায় বিউটিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যতই বড়ই ক্ষমতাশালী হোক না কেনো অন্যায়কারীকে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রূপসা সেতুর টোল প্লাজার সুপারভাইজার মাসুদ রানা বলেন, গত শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ফাতেমা আক্তার বিউটি চারটি হাইয়েস, দুটি প্রাইভেটকার ও ৩/৪টি মোটরসাইকেল যোগে প্রায় ৫০-৬০ জনের একটি বহর নিয়ে খুলনা শহরে তার মেয়ের বউভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। টোল প্লাজার ৬ নম্বর লেন দিয়ে তারা সিরিয়াল ভঙ্গ ও টোলে কোনো টাকা না দিয়ে পার হতে চাচ্ছিলেন। এ সময় টোল আদায়কারীরা তাদের বাধা দিলে বিউটি, তার দুই ভাতিজা আহমদ আলী শেখ ও মোহাম্মদ আলী শেখ এবং মনি গাজী নামে এক যুবক গাড়ি থেকে নেমে সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে বাকবিত-া শুরু করেন। একপর্যায়ে বিউটি সিকিউরিটি গার্ড রবিউলের গায়ে ধাক্কা দেন। এ সময় অপর সিকিউরিটি গার্ড কামাল পুলিশদের ডাকেন। পুলিশ তখন ঘটনা শুনতে গেলে পুলিশ সদস্য সাইদুর রহমানকে আঘাত করেন বিউটি। টোলপ্লাজা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাকির বলেন, টোলপ্লাজায় তিনজন পুলিশ দায়িত্বে ছিলেন। গাড়ি বহর নিয়ে সিরিয়াল ভঙ্গ করে যাওয়ার জন্য সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে এক নারীর বাকবিত-া হচ্ছে দেখে পুলিশ এগিয়ে যায়। এ সময় বিউটি পুলিশ কনস্টেবল সাইদুর রহমানকে আঘাত করেন। এতে তার পোশাকের বোতাম ছিঁড়ে যায়। পরে টোলপ্লাজায় দায়িত্বরত অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে বিউটিকে আটক করেন।
জানা গেছে, পূর্ব রূপসার বাগমারা গ্রামে বিউটির শশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজন খুব প্রভাবশালী। তার স্বামী মফিজুল ইসলাম রূপসা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও রূপসা টেম্পু অটোটেম্পু মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া মফিজুলের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক নৈহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রূপসা-বাগেরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। বিউটির ভাই আবু সালেহ বাবু মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপর ভাই আবু আহাদ হাফিজ বাবু রূপসা চিংড়ি বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রূপসা উপজেলা যুবলীগের সদস্য। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিউটির আত্মীয় স্বজনা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তারা একের পর নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
রূপসা সেতুর টোল প্লাজার সুপারভাইজার মাসুদ রানা বলেন, গত শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ফাতেমা আক্তার বিউটি চারটি হাইয়েস, দুটি প্রাইভেটকার ও ৩/৪টি মোটরসাইকেল যোগে প্রায় ৫০-৬০ জনের একটি বহর নিয়ে খুলনা শহরে তার মেয়ের বউভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। টোল প্লাজার ৬ নম্বর লেন দিয়ে তারা সিরিয়াল ভঙ্গ ও টোলে কোনো টাকা না দিয়ে পার হতে চাচ্ছিলেন। এ সময় টোল আদায়কারীরা তাদের বাধা দিলে বিউটি, তার দুই ভাতিজা আহমদ আলী শেখ ও মোহাম্মদ আলী শেখ এবং মনি গাজী নামে এক যুবক গাড়ি থেকে নেমে সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে বাকবিত-া শুরু করেন। একপর্যায়ে বিউটি সিকিউরিটি গার্ড রবিউলের গায়ে ধাক্কা দেন। এ সময় অপর সিকিউরিটি গার্ড কামাল পুলিশদের ডাকেন। পুলিশ তখন ঘটনা শুনতে গেলে পুলিশ সদস্য সাইদুর রহমানকে আঘাত করেন বিউটি। টোলপ্লাজা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাকির বলেন, টোলপ্লাজায় তিনজন পুলিশ দায়িত্বে ছিলেন। গাড়ি বহর নিয়ে সিরিয়াল ভঙ্গ করে যাওয়ার জন্য সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে এক নারীর বাকবিত-া হচ্ছে দেখে পুলিশ এগিয়ে যায়। এ সময় বিউটি পুলিশ কনস্টেবল সাইদুর রহমানকে আঘাত করেন। এতে তার পোশাকের বোতাম ছিঁড়ে যায়। পরে টোলপ্লাজায় দায়িত্বরত অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে বিউটিকে আটক করেন।
জানা গেছে, পূর্ব রূপসার বাগমারা গ্রামে বিউটির শশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ির লোকজন খুব প্রভাবশালী। তার স্বামী মফিজুল ইসলাম রূপসা উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও রূপসা টেম্পু অটোটেম্পু মাহেন্দ্র শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া মফিজুলের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক নৈহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রূপসা-বাগেরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। বিউটির ভাই আবু সালেহ বাবু মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপর ভাই আবু আহাদ হাফিজ বাবু রূপসা চিংড়ি বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও রূপসা উপজেলা যুবলীগের সদস্য। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিউটির আত্মীয় স্বজনা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তারা একের পর নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।